সকালের বুলেটিন ডেক্স: ২১ এপ্রিল ২০২৪ , ৮:২১:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ শাহিনুর রহমান আকাশ
রাজশাহী: প্রতিনিধি
দুর্গাপুরে অদৃশ্য কারণে পুকুরের মাছ মরে শেষ
জানা যায় রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ৩ নং পানাড়াগড়ি ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে এই ঘটনা
সারা দেশে যখন চলছে তীব্র তাপ প্রবাহ।ঠিক সেই সময় দুর্গাপুরের মাছ চাষী সুলতানের সর্বনাশ প্রায় ২৫ বিঘা আয়তনের পুকুরে মাছ মরে শেষ। দেশের তাপমাত্রা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে । রাজশাহীতে গতকাল ৪২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর এই তাপমাত্রায় বোধহয় কাল হলো মাছ চাষি মোঃ সুলতানের । রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার 3 নং পানা নগর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মাছ চাষী মো সুলতান আহমেদ জানতে পারে যে রাত বারোটার পর থেকে তার পুকুরের মাছগুলো পানির উপরে মরে ভেসে উঠেছে।
এবং তিনি মনে করেন অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে এবং পানি হিট হওয়ার কারণে এই মাছগুলো মরে যেতে পারে ধারণা করে তিনি পুকুরে জল মটর দিয়ে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করেন । এবং প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কিন্তু তারপরেও ঠেকানো যায়নি মাছ মরা । তার প্রায় ২৫ বিঘা পুকুরের মাছ মরে গেছে । এতে তার প্রায় ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান । কি কারণে মাছ মরে গেছে তা এখনো জানা যায়নি । তবে ধারণা করা হচ্ছে বিষ প্রয়োগে মাছগুলো মারা গেছে । পুকুরে থাকা রুই কাতল সিলভার কাপ গুলশা মিরগা জাপানি গুচি সহ সব নানা কভার দেশি মাছ । তার পুকুরে থাকা মাছের পরিমাণ প্রায় ২০০/২৫০ মন মাছ । এতে খাবারের দাম ও মাছের দাম সহ বিশাল অঙ্গের লোকসানের মুখে পড়েছেন মাছ চাষের সুলতান আহমেদ । স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান পুকুরে বিষ প্রয়োগ হয়েছে এমন খবর জানতে পারলে পুকুরে এসে দেখতে পাই সমস্ত পুকুর জুড়ে মাছ মরে সাদা হয়ে রয়েছে । মাছ চাষি সুলতানা আহমেদের ছোট ভাই জিয়ারুল ইসলাম জানান রাত্রি দুইটার সময় আমরা বুঝতে পারি পুকুরে সমস্যা হয়েছে এ সময় মোটর দিয়ে পানি এবং পানিতে অক্সিজেন দেই। এবং গ্যাস হয়েছে ভেবে তা থেকে বাঁচার জন্য সকল প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি । কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হয় না পুকুরের মাছ সমস্ত মরে শেষ । পুকুরে বিষ প্রয়োগ না করলে এমনটা হওয়ার কথা নয় । তিনি বলেন বাজার বেশি থাকায় মাছের খাবারগুলোর দাম অনেক বেশি এমন অবস্থায় এত বড় লোকসানে এখন পথে বসার উপক্রম। ক্ষতির পরিমাণ এতটাই বেশি যে কোনভাবে তা পূরণ করা সম্ভব নয় ।