সকালের বুলেটিন ডেক্স: ৩ জুন ২০২৪ , ৫:২৩:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
লাগামহীন হয়ে উঠেছে রাজশাহীর বালু মহল থেকে একাংশ ছিটকে পড়া একটি সিন্ডিকেট। সুত্র বলছে যাদের ক্ষমতা অধিকাংশ সময় জেলা প্রশাসক কেও বৃদ্ধাআংগুল দেখিয়েছে তারাই এখন ইজারাকৃত বৈধঘাট বিতর্কিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। জানা গেছে সিন্ডিকেটের সদস্যরা নিজ জেলার বাইরে চাঁপাই নবাবগঞ্জ থেকে বালু উত্তোলন কারিদের দিয়ে নানা মুখি সমস্যায় ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজশাহীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মুন এন্টার প্রাইজকে। সংশ্লীষ্ট স্থানে বালু রাখতে বাধা, স্থানিয় পেশি শক্তিদিয়ে বালুঘাট নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা সবই অভিযোগ রয়েছে বালু দস্যুদের নামে। বালু দস্যুদের নানা অবৈধ দাবি প্রভাব খাটানোর চেষ্টা দখলদারি নিয়ে মহামান্য হাইকোর্ট পর্যন্ত গিয়েছেন মেসার্স মুন এন্টার প্রাইজের প্রোপাইটর মুখলেসুর রহমান মুকুল। নিজের বৈধতার সকল প্রয়োজনীয় কাগজ মহামান্য হাইকোর্টের কাগজ সহ তাদের বিরুদ্ধে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন মুখলেসুর রহমান মুকুল নামের ঐ ঠিকাদার। মুন এন্টার প্রাইজের একজন ঘনিষ্ঠ জন জানান, রাজশাহী জেলার নির্ধারিত বালু মহল গুলো ইজারা দেওয়ার জন্য কয়েক মাস আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। তিনি বলেন কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিডিউলের মাধ্যমে আবেদন করেন । সর্বশেষ যাচাই বাছাই শেষে গোদাগাড়ীর সেই উল্লেখিত বালু ঘাট দুটি মেসার্স মুন এন্টার প্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পান । বাংলা সাল হিসেব করে গত পহেলা বৈশাখ থেকে সরকারি নিয়ম মেনে মুন এন্টার প্রাইজের বালু উত্তোলনের নির্দেশ রয়েছে শর্তমালাতে । কিন্তু হটাৎ করে একটি মহল নাটকীয় ভাবে বালু ঘাটে নানা সমস্যার সৃস্টি করছেন যা নিয়ম বহিভূত। তিনি আরো বলেন যারা বালু মহল শাষন করতে চায় তারাই আজ এমন ঘটনার জন্ম দিচ্ছেন। পুর্বে যারা বালু ঘাট কেন্দ্রকরে জেলা প্রশাসককে পর্যন্ত বৃদ্ধা আংগুল দেখিয়ে বালু দস্যু হিসেবে নাম কুড়িয়েছেন এখন তারাই আবার রাজত্ব করতে চায়। রাজশাহীর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের একটি সুত্র জানায় মুন এন্টার প্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্নধর মুখলেসুর রহমান সকল বিধি মেনেই বালু উত্তোলন করছেন এখানে একটি পক্ষ তাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছে বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন ২০২২ সালে ও ২০২৩ সালে পর্যায়ক্রমে দুইবার মুখলেসুর রহমান রাজশাহী জেলার শ্রেষ্ঠ করদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়ে পুরুস্কার পেয়েছেন। এমন ব্যক্তি বালু মহল ইজারা পেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছে। গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট বালু উত্তোলন ও বাধা প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন মহামান্য হাইকোর্ট থেকে একটা কাগজ পেয়েছি সেখানে মুন এন্টার প্রাইজের শতভাগ বৈধতা রয়েছে। যারা মুন এন্টার প্রাইজকে বিভিন্ন ভাবে বাধা প্রদান করছেন জেলা প্রশাসকের নির্দেশে শিঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলবে……..