সম্পাদক ৬ জুন ২০২৪ , ৮:১৫:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী:
রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর একটি চিকিৎসা পাড়া বললেই চলে। সেখানে সরকারি হাসপাতাল সহ বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক গুলি রয়েছে যেখানে রাজশাহী সহ রাজশাহী বিভাগের সমস্ত জেলার মানুষ চিকিৎসা নিতে আসে। সেই জন্য লক্ষীপুর মোড়ে রয়েছে অনেক ফার্মেসী। এতগুলো ফার্মেসীর মধ্যে দুইটি ফার্মেসির নাম উঠে আসে মানুষকে জিম্মি করে প্রতারণার জালে ফেলা।
রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুরে আলিফ লাম মিম ফার্মেসী যার মালিক জুয়েল এবং আরোগ্য নিকেতন যার মালিক পলাশ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে তারা দালাল দিয়ে হসপিটাল অথবা ক্লিনিক এর সামনে থেকে রোগীর অভিভাবকের হাত থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে সেই দোকানে হাজির হয় ওষুধ নিতে। যে ওষুধের দাম পাঁচ টাকা থাকলে সেটা হয়ে যায় বিশ টাকা। বাড়তি টাকার লাভ গুলি ফার্মেসীর মালিক, কর্মচারী, দালাল, এর পাশে কিছু হোয়াইট গডফাদার ভাগ বসিয়ে থাকে।
সরজমিনে যে জানা যায়, এই দালাল চক্র লিডার হচ্ছে পাঞ্জা নামের এক ব্যক্তি। আলিফ লাম মিম ফার্মেসির দালাল হয়ে কাজ করে বেশিরভাগ সময় রকি, জিম ও জুয়েল নামক এক দালাল চক্র। আরোগ্য নিকেতনের মালিক পলাশের আনুমানিক ২০ জনের মতো দালাল কন্টাক করে রাখা আছে । বিশ জনের মধ্যে রুবেল, আব্দুর রহমান ও পিয়াস নামক ব্যক্তি সবাইকে পরিচালনা করে ।
লক্ষ্মীপুরের এক স্থানীয় ব্যক্তি এবং একটি ফার্মেসির পার্টনার তাকে বিষয়টি বললে তিনি বলেন, যদিও আমার এলাকা ভয় নেই তবু নাম না বলাই ভালো কারণ ওদের দুইজনের মধ্যে একজন আমার দোকান থেকে প্রায় সময় ওষুধ কিনে। এই দুই দোকানে ভিতর শুধু বক্স সাজানো রয়েছে সামান্য কিছু ওষুধ থাকলেও থাকতে পারে। কোন রোগীর অভিভাবক যখন হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিক থেকে ওষুধ কেনার জন্য প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে বের হয় দালাল গুলি তাদের হাত থেকে প্রেসক্রিপশন টা নিয়ে তাদের টেনে নিয়ে আসে এই দোকানে কম দামে ওষুধ দেওয়ার আশায়। কাস্টমারকে দাঁড় করে রেখে পাশের যে কোন দোকান থেকে ওষুধ নিয়ে অধিক দামে সেটা কাস্টমারকে বুঝাই দেওয়া হয়।
সরজমিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের গেটে এক দালালকে হাতেনাতে থামালে নাম বলতে অনিচ্ছুক সে জানায়, আমি আরোগ্য নিকেতনে বেশিরভাগ কাস্টমার দিয়ে থাকি। এটা অনেকদিন ধরেই চলে আসছে এ বিষয়টা পুলিশ বক্স জানে । পুলিশ বক্স এর হাসান ও নেশার দুইজনকেই আমাদের দোকানের মালিক কন্টাক করে রেখেছে। আপনার এক সময় করে আসেন আমাদের বস পাঞ্জার সাথে পরিচয় করায় দিব চা খাওয়ার দাওয়াত রইলো আপনাদের।
পুলিশের বিষয়টি ঘাটতে যে দেখা যায় কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে এসেছে। লক্ষ্মীপুরের এক কথিত ফটোসাংবাদিক নাকি হোয়াইট গডফাদার হিসেবে এই দোকানের মালিক গুলোকে ব্যাকআপ দিয়ে আসছে। দোকানের মালিক গুলিকে বলে আপনার ব্যবসা করুন আমরা সাথে আছি যা কিছু হবে আমরা সামলে নিব।
রাজশাহীর মেয়র এইচ এম খাইরুজ্জামান লিটন ও পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার দুইজন মিলে চেষ্টা করে যাচ্ছে রাজশাহীকে দুর্নীতিমুক্ত ক্লিন সিটি গড়ে তুলবে সেখানে পুলিশের দুই কর্মকর্তা ও এক কথিত ফটোসাংবাদিকের এমন কাজ জনগণ মানতে নারাজ। দেশের দুই মেরুদন্ড পুলিশ ও সাংবাদিক যদি এমন কাজ করে থাকে তাহলে জনগণ কাকে বিশ্বাস করবে? অন্য জেলার মানুষগুলো কি বিশ্বাসে রাজশাহী শহরে তার আপনজনকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসবে?
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ কমিশনার (রাজপাড়া) মোঃ সোহেল রানাকে একাধিকবার ফোন দেওয়ায় তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া হয় নাই।