সারাদেশ

রাজশাহী মহানগরীর ১৪ নং ওয়ার্ডে মদকের রমরমা ব্যবসার অভিযোগ

  মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন ২০ জুলাই ২০২৪ , ৭:৩৫:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নিজস্ব প্রতিবেদন:
রাজশাহী মহানগরীর ১৪ নং ওয়ার্ড রাজপাড়া থানার তেরোখাদিয়া খোকন মন্ডলের মোড়ে ইন্ডিয়ান অবৈধ ট্যাফেন্টাডল ট্যাবলেটের রমরমা ব্যবসা করছে কিছু স্থানীয় বাসিন্দা। এলাকা বাসী কাউকে তোয়াক্কা না করে জনসম্মুখে যুবসমাজকে নষ্টের দিকে ঠেলে দিতেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ এই চক্রের মূল অধিনায়ক সোহেল। যার ইশারায় তেরোখাদিয়ার বিভিন্ন মোড়ে স্থানীয় ব্যক্তি দ্বারা ব্যবসা করে আসছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা ও এলাকাবাসীর কাছে জানা যায়, কোটা বিরোধী আনদোলনের জন্য সরকার কারফিউ জারি করার পরেও খোকন মন্ডলের মোড়ে বাইক, রিক্সা নয়ত হেঁটে বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে টাকা দিয়ে মাদক নিয়ে চলে যাচ্ছে। রিস্কাঅলা থেকে শুরু করে কলেজের ছাত্র সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ দিন রাত সব সময় এলাকায় চলাচল করছে। এলাকার মেয়েরা সন্ধ্যার পর দোকানে যেতে ভয় করে বাইরের মানুষ নেশায় তাঁদের কোন ক্ষতি না করে বসে।

এলাকাবাসী আরো জানাই, রানা বয়স ৩৩ সে নিজের এলাকা তেরোখাদিয়া খিস্টান পাড়ায় ইয়াবা, হিরোইন, গাঁজা ও ট্যাফেন্টা দীর্ঘ দিন থেকে বিক্রি করে আসছে। তাঁর ব্যবসা দেখে সোহেল (৪০ ) পিতা – কাশেম তেরখাদিয়া মধ্যপাড়ার বাসিন্দা। সে টি বাঁধ নদীর চড় থেকে ইন্ডিয়ান নিষিদ্ধ ট্যাবলেট ট্যাফেনটা আকবর নামের এক ব্যক্তি নিয়ে সেটা সোহেলের কাছে পৌঁছায় দেই। সেই মাদক সোহেল কিছু কিছু করে জনি পিতা – মৃত নয়মুল, রুবেল পিতা- মোয়াজ্জেম, সুজন ও অটোর গ্যারেজ এ ব্যাবসা করে রফিকুল। এরাই এলাকার যুবসমাজ সহ বিভিন্ন এলাকার ছোট বড় সবার কাছে মাদক বিক্রি করে আসছে।

সোহেলের নামে এমন ও অভিযোগ উঠে আসে তাঁর সাথে ডিবি পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সাথে লিয়াজু রয়েছে। সে পদ্মার চর ব্যতীত ডিভি পুলিশের আটককৃত মাদক কম টাকায় কিনে বিক্রয় করে। এলাকার মুরব্বী কিছু বললে তাদের পরিবারের কাউকে মাদক দিয়ে ডিবি পুলিশ দিয়ে আটক করবে বলে ভয় ভীতি দেখায় । রুবেল আর সুজন প্রকাশে বলে বেড়ায় প্রশাসন ম্যানেজ করে ব্যবসা করছি এমনি নয়।

এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৪ নাম্বার কাউন্সিলার আনার বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত আছি । এলাকার মসজিদ কমিটি লিস্ট করে আমার চেম্বারে দিয়েছে । থানার ওসি আর মাদক অধিদপ্তরে আমি সেগুলি দিয়েছি। কোটা আন্দোলনের সমস্যা নরমাল হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে রাজপাড়া থানার ওসি জানায়, আমর থানার লোক সিভিলে নিয়মিত যাচ্ছে। সোহেল কে হাতে নাতে ধরা হবে তবেই এলাকায় মাদক ব্যবসা বন্ধ হবে।

আরও খবর

Sponsered content