মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন ২৭ জুলাই ২০২৪ , ৮:৩৬:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহী মহানগরীর ১৪ নং ওয়ার্ডের তেরোখাদিয়া খোকন মন্ডলের মোড়ে মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে। স্থানীয় কিছু মাদক কারবারি এলাকাবাসী কাউকে কোনো তোয়াক্কা না করে জনসম্মুখে মাদক কারবার চালাচ্ছে। এতে যুবসমাজ হুমকির মূখে পরে। এলাকায় মাদক বন্ধে স্থানীয়দের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে নির্দেশ দেয় ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার। অন্য এলাকার বহিরাগত কাউকে ওই এলাকায় ঢুকতে বাধা সৃষ্টি করা হয়। কাউন্সিলরের নির্দেশ পাওয়ার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠে কাউন্সিলরের কিছু মানুষ। সাধারণ মানুষসহ গণমাধ্যম কর্মীদেরকেও ওই এলাকায় যেতে বাধা প্রদান করেন তারা। মাদক বন্ধের নামে এমন হয়রানিতে পড়েন আশে পাশের এলাকার মানুষসহ স্থানীয়রা। বাধে এলাকা ভিত্তিক বিপত্তি। শুরু হয় এলাকা ভিত্তিক মারামারি। এতে গুরুতর আহত হয় দুজন।
গত ২৪ জুন (বুধবার) সন্ধ্যার পর দুগ্রুপের সংঘর্ষ বাঁধে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, কিছু দিন থেকে হঠাৎ কাউন্সিলারসহ তার কিছু লোক লাঠি নিয়ে যাঁরা মাদক ব্যবসা করে আর যারা সেবন করে তাদের ধরে ধরে পিটানো শুরু করেন। যেনো তারা এলাকায় মাদক এর কোনো লেনদেন বা সেবন না করে। মাদক ব্যবসায়ীদের আইনে হাতে না তুলে দিয়ে তাদের সাবধান করেন কাউন্সিলার। এরপর কিছু মাদক সেবনকারী আর মাদক ব্যবসায়ীর সহযোগীকে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় প্রতিরোধ গড়তে। অন্য এলাকার কেউ আসলে তাদের যেনো ধরে তাঁর চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়। কাউন্সিলরের সেই আদেশকে এরা অন্য ভাবে পরিচালনা শুরু করে। অন্য এলাকার কেউ আসলে তাকে ধরে তাঁর কাছ থেকে টাকা পয়সা কেড়ে নিয়ে বিদায় করে দেওয়া শুরু করেন। টাকা পয়সা কেড়ে তাঁদের ভয় দেখানো হয় এই বলে যে কাউন্সিলর চেম্বারে নিয়ে মাদক সেবন বা বিক্রির অভিযোগ তুলে পিটানো হবে।
ভুক্তভোগী রাজু , শাওন, মিঠু, সাগির ও জীবন কাউন্সিলরের ওই সব লোকের নিকট হয়রানির শিকার হন। এমনকি এক সংবাদ কর্মীর সাথেও খারাপ ব্যবহার করে তারা। এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার একটি অভিযোগও করেন ও সংবাদকর্মী। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সোহেলের নেতৃত্বে রুবেল আর তপন সংবাদ প্রকাশ এর জন্য , গালাগালি খারাপ ব্যবহার করেন। ইতোমধ্যে কাউন্সিলারের দেওয়া সাহসে তারা মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, টাকা না পেলে চেম্বারে নিয়ে গিয়ে অপমান নয়তো চড় থাপ্পড় দেওয়া হচ্ছে। এমন ঘটনায় পাশের এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে সোহেল, রুবেল, তপন, মাসুম আর মিঠুর এমন কাজে বাধা সৃষ্টি করেন। বসুয়া এলাকার কয়েকজন রাগে একত্র হয়ে ডাবতলার মোড়ে অপেক্ষা করেন। ২৪ জুন সন্ধ্যার পরে তপন, মাসুম আর মিঠু কে পেয়ে চাকু আর লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। পরে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়।
সোনালী খবরের সাংবাদিক স্বাধীন জানায়, আমি অভিযোগ পাই ওই এলাকায় মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে। বাইরের মানুষ আসায় এলাকার মেয়েরা ভয়ে সন্ধ্যার পরে বের হতে পারে না। সোহেলের নেতৃত্বে মাদক ব্যবসা হচ্ছে। প্রতিবেদন করার জন্য কাউন্সিলরের বক্তব্য নিতে কল দিলে তিনি বলেন এমন ঘটনা সত্য কিন্তু নিউজ করার দরকার নাই এতে তারা সাবধান হয়ে যাবে। তাদের পুলিশে দিতে হবে। এমন কথা বলে তিনি নিজেই তাঁদের চেম্বারে ধরে চড় থাপ্পড় দিয়ে সাবধান করে দেয়। এজন্য আমায় ওই এলাকায় আটকিয়ে হুমকি দেয় মাদক এর সাথে জড়িত যাঁরা। আমি থানায় কল দেওয়ায় পুলিশ আসায় আমি সম্মান নিয়ে ফিরতে পারি। এ বিষয়ে রাজপাড়া থানায় অভিযোগ করা আছে।
এ বিষয়ে ১৪ নম্বরের কাউন্সিল আনোয়ার হোসেন আনার বলেন, এরা এমন কাজ করছে সেটা আমার জানা নাই। তারা ওই এলাকায় গেছে বা ওদের ধরেছিল সেটা আমায় জানিয়ে করে নাই। আমি কাল পরশু দুই গ্রুপ কে নিয়ে বসবো দিয়ে দেখব কি অবস্থা আর কি করা যায়।