সারাদেশ

চাহিদার অর্ধেক মিলছে বিদ্যুৎ, দুর্ভোগে ৫৬ হাজার গ্রাহক

  সকালের বুলেটিন ডেক্স: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১০:২৭:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

দুর্গাপুর প্রতিনিধি: রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে প্রায় ৫৬ হাজার গ্রাহক চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষণা করা হলেও বিদ্যুৎ বিভাগ কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারছে না। এখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্ধেক সময়ও গ্রাহকরা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। এতে আমন ধান চাষিরা সেচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। বিদ্যুতের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাও। এমন পরিস্থিতিতে জনমনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

এ উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৫৬ হাজার গ্রাহকের ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৮ মেগাওয়াট। ফলে দেখা দিয়েছে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং। এদিকে লোডশেডিং ও অনাবৃষ্টিতে সেচ সংকটে আমন আবাদের ফলন বিপর্যয়ে শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা।

আমনচাষিরা জানান, বৃষ্টির পানিতে আমন রোপণ করলেও এখন অনাবৃষ্টিতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন তারা। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে আমনের জমিতে সেচ দিতে পারছেন না। দিন ও রাতে দফায় দফায় লোডশেডিং হচ্ছে। এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া গেলে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না।

উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের অটোরিকশাচালক সালাউদ্দিন হোসেন কালবেলাকে জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমতো অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জ করতে পারছেন না। এতে তাদের আয় কম হচ্ছে।

দুর্গাপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মাহাবুর রহমান কালবেলাকে জানান, দুর্গাপুর উপজেলার ৫৬ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের জন্য ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৮ মেগাওয়াট। ফলে চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় লোডশেডিং হওয়াটা স্বাভাবিক। পুরো বরাদ্দ পেলে এ সমস্যা থাকবে না বলে তিনি জানান।

আরও খবর

Sponsered content