রাজনীতি

দ্রুত জনগনের ভোট অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই – জামাত ইসলাম

  মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৫:০৪:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদন:

রাজশাহী জেলা পশ্চিম বাংলাদেশ জামাত ইসলামের নেতাকর্মীরা বলেন বৈষম্যহীন রাজ্য গড়তে সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। আল্লাহর আইন মেনে দেশ শাসন করতে হবে। তবেই স্বৈরাচারীর শেখ হাসিনার গুণ ধরা দেশকে আমরা জনগণের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারব। দূর করতে পারব বাংলাদেশের সমস্ত জায়গা থেকে দুর্নীতি আর অনিয়ম। অতি দ্রুত দূর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ করে জনগনের ভোটের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।

২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ বিকাল ৩ ঘটিকায় রাজশাহী নগরীর জেলা পরিষদ মিলায়তনে সদস্য সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এ কথা বলেন।

সম্মেলনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য ও আমির রাজশাহী জেলা পশ্চিম অধ্যাপক মোঃ আব্দুল খালেক এর সভাপতিতে , বিশেষ অতিথি হিসেবে সরকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও রাজশাহী অঞ্চল পরিচালক অধ্যক্ষ মোঃ শাহাবুদ্দিন সহ রাজশাহী মহানগরীর জামাতে ইসলামের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক কর্মীরা।

প্রধান অতিথি হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছিল ৭১ সালে। কিন্তু এরপর থেকে যতবার যারা ক্ষমতায় এসেছেন কেউ বৈষম্য দূর করেননি। তাঁরা (আওয়ামী লীগ) বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলে নিজেরাই এমন বৈষম্য তৈরি করলো যে নিজের দলের নেতাদের ছাড়া কাউকে চাকরি দেয় না। এরচেয়ে বড় বৈষম্য আর কিছু হতে পারে না। পুলিশের চাকরি করবে সেখানে মাদ্রাসার ছাত্রদের চাকরি দিবে না, অন্য বিরোধী দলের লোক হলে চাকরি দিবে না। পুলিশ, আর্মি অথবা বিজিবির উদ্ধতম কর্মকর্তাদের কাছে জানতে পারি প্রত্যেকটা জায়গায় তারা বৈষম্য তৈরি করেছেন।

ইউনূস সরকারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁরা সংস্কার কাজ শুরু করেছেন আমরা ধন্যবাদ জানাই । কিন্তু সংস্কার করবেন কয়জন । গোটা স্টাফ যদি পোঁচে যায়, এগুলাকে একজায়গা থেকে আরেক জায়গায় দিলে কি সমাজ ঠিক হবে? পঁচা লোক যেখানে দিবেন সেখানেই পঁচাবে সে। অতএব এটা দিয়ে সমাজ পরিবর্তন হবে না, বৈষম্যহীন সমাজ হবে না। সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আল্লাহর ভয় যাদের আছে তাদেরকে এখানে দিতে হবে। প্রয়োজন হলে নতুন পুলিশ নিয়োগ দিতে হবে। নতুন ভাবে নিয়োগ করতে হবে। তাছাড়া সমাজ পরিবর্তন হতে পারে না।

আরও খবর

Sponsered content