অপরাধ - দূর্নীতি

আড়ানীতে সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ছত্র ছায়ায় গড়ে উঠেছে অবৈধ ভেজাল গুড়ের কারখানা 

  মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন ৬ নভেম্বর ২০২৪ , ১০:৪৫:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানীতে ভারত থেকে আসা এলসি গুড় যা গো খাদ্য নামে পরিচিত এর সঙ্গে ফিটকারী, হাইড্রোজ ও রং মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে ভেজাল গুড়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাজশাহীর বাঘা, আড়ানী, চারঘাট, বানেশ্বর ও পুঠিয়া এলাকায় গড়ে উঠেছে অর্ধশত অনুমোদনহীন ভেজাল গুড়ের কারখানা।

গত ৬ই নভেম্বর বুধবার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকসিংগা, আড়ানী পৌরসভার চকসিংগা গ্রামে সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এর বাড়ির ঠিক পেছনে একটি বসত বাড়িতে গুড়ের কারখানায় সরেজমিনে দেখা যায়, ভারত থেকে আমদানীকৃত গো খাদ্য এলসি গুড়, ফিটকারী, হাইড্রোজ ও রং

মিশিয়ে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে আখ ও খেজুর গুড়। এতে যেমন বাড়ছে স্বাস্থ্যর ঝুকি তেমনি কারখানার কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।

স্থানীয়দের দাবি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ছত্রছায়ায় ফয়সাল ও রমজান দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল গুড় তৈরি করে আসছে। নিয়মিত এই কারখানায় তৈরি হয় ভেজাল গুড় ৷ শাহরিয়ার আলমের ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পাইনা কেউ। কারখানার কালো ধোঁয়ায় অতিষ্ঠ আমরা। পঁচা বাসি দূর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ,প্রশাসন জানার পরেও এতদিন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি এখন আমরা এলাকা বাসি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি।

কারখানা মালিক ফয়সাল ও রমজান বলেন, ভারত থেকে আসা এলসি গুড় দিয়েই আমরা গুড় তৈরি করি। সারা বাংলাদেশেই এলসি দিয়ে গুড় তৈরি হয় তাই আমরাও তৈরি করি। আখের অনেক দাম আবার তা সারা বছর পাওয়া যায় না তাই ইন্ডিয়ান লিকুইড চিনিতেই ভরসা। আমাদের গুড় ব্যবসায়িকদের একটা সমিতি রয়েছে। আমরা ইউএনও, এসিল্যান্ড, ভোক্তা এবং পুলিশ সহ সকল প্রশাসন কে ম্যানেজ করেই দীর্ঘদিন থেকেই গুড়ের ব্যবসা করে আসছি।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাম্মী আক্তার বলেন, ভেজাল সব খাবারই মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। চিনি, ফিটকারী, হাইড্রোজ ও রং ব্যবহার করে তৈরি গুড় খেলে মানবদেহের অনেক ক্ষতি হবে। প্রতিটি উপাদানই ক্ষতিকারক এই ভেজাল গুড় মানুষের পেটে গেলে লিভার ক্যানসার হতে পারে। এতে করে লিভার নষ্ট হতে পারে ধীরে ধীরে মানবদেহে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিবে। আমার উপজেলায় এরকম ভেজাল গুড়ের কারখানার আর থাকবে না আমরা পরিদর্শনে যাবো যেহেতু এখন খেজুর গুড় তৈরীর সময় আসছে একের পর এক কারখানা গুলোতে অভিযান চলবে।

আরও খবর

Sponsered content