মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন ৫ মার্চ ২০২৫ , ১১:১৭:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
অন্তর্বর্তী সরকারকে বিফলে ফেলতে ও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে গোপনে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে লীগপন্থীরা। এমনই এক লীগপন্থী পুলিশ কর্মকর্তার অভিযোগ নিয়ে থানার সামনে অবস্থান নিয়েছে রাজশাহীর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের উপর হামলার অভিযোগে থানার কোন সহযোগিতা না পেয়ে যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় আসামিকে আটকের পরও কেনো পুলিশ ছাড়ার ব্যবস্থা করলো।
৪ মার্চ ২০২৫ ( মঙ্গলবার) রাত ১০ টায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা নগরীর বোয়ালিয়া থানার সামনে অবস্থান নেয়। সেদিন ভোর রাত ৩ টায় শিক্ষার্থীরা যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় ছবি,ভিডিও সব তথ্য নিয়ে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী বিচ্ছাদ পিতা: মৃত সোলেমান কে পঞ্চবটি এলাকা থেকে আটক করে আরএমপির বোয়ালিয়া থানায় সোপর্দ করে। কিন্তু এসআই আকবর আলি রহস্যজনক ভাবে আসামির সাপোর্ট নিয়ে ওসিকে ভুল তথ্য দিয়ে সন্দোহ জনক আটক দেখিয়ে আসামির মুক্তির ব্যবস্থা করে দেই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বৈষম্যবিরোধী রাজশাহী ছাত্র আন্দোলনের মহানগরীর মুখপাত্র আরশি হক বলেন, ৫ আগষ্টের পর থেকেই আমরা ছবি ভিডিও প্রমাণ সহ থানায় বলার পরও তারা আটক করেনাই । হঠাৎ সরকার ডেভিল হান্টের অভিযান শুরু করায় আমাদের মনে শক্তি আর সাহস যোগায়। তথ্য পেয়ে মাঝরাতে যৌথ্য বাহিনীর সহযোগিতায় আটক করে বোয়ালিয়া থানায় সোপর্দ করলে পুলিশ জানাই বিল্পবে রাজশাহীতে শহীদ সাকিব আনজুম হত্যা মামলায় তাকে আটক দেখাবে। সেটা শুনে মনে শান্তির নিশ্বাস ফেলে আমরা সবাই হাঁসি মুখে বাসায় ফিরি ভোর রাতে। এই সফল অভিযানকে পুলিশ রহস্যজনক ভাবে আসামিকে সহযোগিতা করে বের হওয়ার রাস্তা করে দিলো। এই বিষয়টায় প্রশাসনের জন্য এমন হল , এখানে সম্পুর্ণ দোষ পুলিশের । সহযোগিতা না করে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীকে পালাতে সহযোগিতা করছে পুলিশ। ছবি, ভিডিও প্রমাণ সাথে শিক্ষার্থী সহ যৌথ বাহিনী ,যেখানে ৩-৪ টা প্রশাসন জড়িত তারা সকলে তথ্য প্রমাণ দেখেই আটক করা আসামী কিভাবে ৬-৭ ঘন্টায় আবার মুক্ত হয় সেই প্রশ্ন নিয়ে আজ থানায় অবস্থান নিয়েছি আমারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসআই আকবর স্বৈরাচার সরকারের আমলে বোয়ালিয়া থানার শিরোইল ফাঁড়ির ইনচার্জ ছিলেন সেই সময় ফুটপাত থেকে চাঁদা, মাদক ব্যবসয়ী ও জুয়ার বোর্ড থেকে মাসোয়ারা সহ বিএনপি – জামাত কর্মীর আটক বাণিজ্য ও ব্যাপক হয়রানীর অভিযোগ থাকায় তাকে রাজশাহীর দামকুড়া থানায় পাঠানো হয়েছিল। সেখানেও মাদক ব্যবসায়ীদের গড ফ্যাদার হয়েই ছিলেন তিনি। ৫ আগষ্টের পর আবারো বোয়ালিয়াতে আসে । কিছুদিন আগেও নগরীর রানীনগর বৌ বাজারের এলাকাবাসী এক আওয়ামীলীগ নেতাকে আটক করে সেই নেতাকে ছাড়াতে এসআই আকবর ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে ধাক্কা-ধাক্কি দেওয়ায় এলাকাবাসীর নিকট চর, তাপ্পর, লাথি, গুসির শিকার হয়। সেখানে গণমাধ্যমকর্মীর সহযোগিতায় এসআই আকবর বেরিয়ে আস্তে পারে । সবার সামনে ভালো সাজার নাটক করলেও সে লীগপন্থী সেটা সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল আন্দোলনের ছাত্রকে নির্মম ভাবে পিটানোর হতা বিচ্ছাদকে মুক্ত করার সহযোগিতায় প্রমাণ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে এসআই আকবর আলীকে থানায় খুজে না পেলে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে জানায় , তার নামে কোনো মামলা নাই সেজন্য সন্দেহ জনক ভাবে আটক (আরএমপি) করা হয়েছে। যৌথবাহিনী কি জন্য আটক করলো? তারা থানায় কেন নিয়ে আসলো ? কি তথ্য প্রমাণে আটক করা হয়েছিল জানতে চাইলে বলে কেউ কিছু জানায়নি। মামলা না থাকায় এমনটা হয়েছে।
এই বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদি মাসুদ কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। তবে বোয়ালিয়া থানার এডিসি হাফিজুর রহমান শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমের তোপের মুখে পড়ে ক্যামেরায় বক্তব্য রাজি না হলেও নিউজ প্রকাশ না করা শর্তে জানায় , একটু ভুল ধারণা হওয়ায় এমন টা হয়েছে তাকে আটক করার ব্যবস্থা চলছে। আপনারা নিউজ করলে সে আত্মগোপনে চলে যাবে। বিষয়টি এখানে ধামাচাপা দিয়ে সহযোগিতা করুন খুব দ্রুত তাকে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।