অপরাধ - দূর্নীতি

অবশেষে রাজশাহীতে পুকুর মাফিয়া হান্নানের বিরুদ্ধে মামলা 

  মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন ২৮ মার্চ ২০২৫ , ১২:৩২:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

অবশেষে রাজশাহীর পুঠিয়ায় পুকুর মাফিয়া মো: আবদুল হান্নানের বিরুদ্ধে তার সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী দ্বারা দেশিয় ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে সাংবাদিকদের হেনস্থা ও মারধরের বিষয়ে আদালতে মামলা করেছেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী বিভাগ। রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার হাজার হাজার কৃষকের চোখের পানির কারণ ও শত শত বিঘা ফসলি জমি হত্যাকারীর বিরুদ্ধে রাজশাহীর সাংবাদিকরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে মামলা দায়ের করেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাজশাহী জেলা বিজ্ঞ পুঠিয়া আমলি আদালতে সাংবাদিকদের পক্ষে মামলাটি করেন সংগঠনের রাজশাহী বিভাগের দপ্তর সম্পাদক মো: সুরুজ আলী। মামলাটি পর্যালোচনা করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেন আদালত।

এদিকে পুঠিয়ায় সাংবাদিকদের হেনস্থার ঘটনার নয়দিন পেরিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট পুকুর মাফিয়া তাদের অবৈধ পুকুর খনন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের নিরব ভূমিকার কারণে স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সাংবাদিকদের অভিযোগ, পুঠিয়া থানার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ, কে, এম, নূর হোসেন নির্ঝর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ বসাক এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবীর হোসেনকে সাংবাদিকদের সাথে এমন সন্ত্রাসী আচারন করার বিষয়ে ও এই পুকুর কাটার ঘটনা জানালেও তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, রাজশাহী বিভাগের পক্ষ থেকে আগামী ১০ এপ্রিল ২০২৫ইং তারিখ বেলা ১১টার সময় রাজশাহী মহানগরীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।

এ বিষয়ে দায়ের করা মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ১৯ মার্চ রাত ১১টার দিকে দৈনিক উপচার-এর ক্যামেরা পার্সন বখতিয়ার শাহরিয়ার লিয়ন, জাতীয় দৈনিক নতুন দিন-এর রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি মশিউর রহমান এবং সংবাদ ২৪ ঘণ্টা-এর সিনিয়র ক্যামেরা পার্সন মিশাল মণ্ডলসহ ৫-৬ জন সাংবাদিক পুঠিয়া শিলমারিয়া ইউনিয়নের গোড়াগাছি এলাকার ঘটনাস্থলে যায়।সেখানে পুকুর মাফিয়া হান্নানের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী তাদের ঘিরে ধরে।সাংবাদিকরা ছবি ও ভিডিও ধারণের চেষ্টা করলে জোরপূর্বক ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।ক্যামেরা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বখতিয়ার শাহরিয়ার লিয়নের মাথা ও পেটে আগ্নেয়াস্ত্র ধরে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা।

পরে তারা পুঠিয়া থানাকে বিষয়টি অবগত করলেও পুঠিয়া থানা প্রশাসন এখনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালী মহল প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

অন্যদিকে ঘটনার দিন থেকে গতকাল ২৬মার্চ পর্যন্ত বার বার পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসিল্যান্ড এবং থানার ওসিকে তার পুকুর খননের বিষয়ে জানানো হলেও তাদের দায়িত্ব অবহেলায় পুকুর মাফিয়া তাদের অবৈধ পুকুর খনন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নেতারা বলেন, “সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পেশাগত স্বাধীনতা নিশ্চিত না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। মানববন্ধন কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠন ও সচেতন নাগরিকদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। মানববন্ধন শেষে রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে স্বরলিপি দিবেন সংগঠনটি।

এ বিষয়ে জানতে হান্নানকে মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন, বিগত সময়ে কেউ কিছু করতে পারেনাই ৫ আগষ্টের পর এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। পুঠিয়ায় এমন কোন প্রশাসন নাই যার পকেটে হান্নানের টাকা যায়নি দেখি কে কতদূর কি করতে পারে। আমিতো মানুষ মারার কাজ করিনা মাঠি কেটে খায়। আমার কাজে বাঁধা কেউ দিলে তাকে কি ছেড়ে দিব নাকি।

আরও খবর

Sponsered content