মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন ২ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৪:০১:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদনঃ বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলে দুর্নীতি, কোটাভঙ্গ, টেন্ডার সিন্ডিকেট ও কেনাকাটায় অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তপোময় বিশ্বাস সাংবাদিককে মামলার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
হুমকির পরপরই তপোময় বিশ্বাস সাংবাদিকের ব্যক্তিগত WhatsApp নম্বরে একটি সরকারি নথি পাঠান, যা পূর্বে সাংবাদিক RIT আবেদনের মাধ্যমে চাইলেও পাননি। ফলে নথিটি হঠাৎ পাঠানোকে অনেকেই ‘পরিকল্পিত’ বা ‘চাপ প্রয়োগের কৌশল’ হিসেবে দেখছেন।
পাঠানো নথিটি ২০২৩ সালের ‘চলতি দায়িত্ব ও অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদানের নীতিমালা, ২০২৩’—যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রকাশ করেছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে—
যে নথি RIT-এর মাধ্যমে দেওয়া হয়নি, সেটি সাংবাদিকের প্রতিবেদন প্রকাশের পর কেন ব্যক্তিগতভাবে পাঠানো হলো?
সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, তপোময় বিশ্বাস এই নথিটি দিয়ে বোঝাতে চাইছেন যে তিনি ‘চলতি দায়িত্বে’ আছেন—কিন্তু নথিটি পাঠানোর ধরন ও সময়কে অনেকেই সাংবাদিকের ওপর প্রভাব খাটানোর প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
হঠাৎ ওহাটসঅ্যাপে কেনো নতি পাঠানো হলো জানতে তপরময়কে একাধিক ফোন করে পাওয়া যায়নি বলে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সাংবাদিকের কাছে পৌঁছানো নথির বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক মো. আনোয়ারুল ইসলাম ফোনে জানান ,তপোময় বিশ্বাস চলতি দায়িত্বে আছেন। এ দায়িত্ব দিয়েছেন রেলভবনের মহাপরিচালক (DG) উনার পরবর্তী আদেশ আসেনি তাই তিনি সেখানে দায়িত্বে রয়েছে।
কিন্তু তিনি তাপোময়ের হঠাৎ প্রেরণের নথিটি সাংবাদিকের RIT আবেদনে কেন দেওয়া হয়নি—সে প্রশ্নের উত্তর দেননি।
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি, অনিয়ম এবং ঠিকাদারদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ চলমান। সাম্প্রতিক সময়ে তপোময় বিশ্বাসকে ঘিরে নতুন নথি বিতরণ ও সাংবাদিককে মামলার হুমকি দেওয়ার ঘটনা পুরো পশ্চিমাঞ্চলে অস্বচ্ছতা ও প্রশাসনিক প্রশ্ন আরও ঘনীভূত করেছে।
প্রশাসনিক বিশ্লেষকদের মতে,সরকারি নীতি বাস্তবায়নের পদ্ধতি দেখানো একটি নথি সাংবাদিককে মামলার হুমকির পর WhatsApp-এ পাঠানো কোনোভাবেই স্বাভাবিক প্রশাসনিক আচরণ নয়।

















