মো: সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৯:৩৮:০০ প্রিন্ট সংস্করণ
ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলনে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি
নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন ছোট বনগ্রাম পূর্বপাড়া বাইপাস বড় মসজিদ এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এক ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট এবং চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত চারজন গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় জয়, রফিক, শাকিল, সুজন, সুমন, ইমন, মিল্টন ও আকাশসহ ১০-১২ জনের একটি দল বাড়ির ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। তারা ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে এবং ভয় দেখিয়ে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করে, হামলাকারীরা স্বর্ণালঙ্কার, মূল্যবান আসবাবপত্র, গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্রসহ জমি বিক্রির জন্য রাখা প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় অস্ত্রের মুখে পরিবারটি চরম আতঙ্কে পড়ে। আশপাশের লোকজন ভয়ে এগিয়ে আসতে পারেনি।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী রেজাউল ইসলাম, যিনি রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিজীবী, বলেন—
“আমাদের দাদা আফসার আলীর (৮০) পৈতৃক সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা শুধু আমাদের সম্পদ লুট করেনি, আমাদের প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছে। আমরা এখন ঘরে ফিরতেও ভয় পাচ্ছি।”
পরিবারের দাবি, পূর্ব থেকেই ওই জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। তবে মঙ্গলবারের হামলার পর থেকে তারা সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই জমি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। মঙ্গলবার সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন করায় পুরো এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবার দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের পাশাপাশি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আইনগত প্রতিকার পেতে থানায় মামলা দায়ের করার জন্য উভয়পক্ষকে বলা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।”