মো: সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৯:৫৯:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ থাকার অভিযোগে বিতর্কে জড়ানো জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজশাহী জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শামীমা সুলতানা মায়া অবশেষে পদত্যাগ করেছেন। গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দলীয় সভায় তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, কেন্দ্রীয় বহিষ্কারপত্র কার্যকর হওয়ার আগেই মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে সাংবাদিকদের সামনে পদত্যাগপত্র ঘোষণা করেন তিনি।
এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মায়া রাজশাহীর সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, তার স্ত্রী শাহিন আখতার রেনী ও মেয়ে আনিকা ফারিহা জামান অর্ণার ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সে সময় তিনি আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবেও পরিচিত ছিলেন এবং বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এসব ছবির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তবে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি হঠাৎ রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করে এনসিপিতে যোগ দেন এবং গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন।
দলীয় সূত্র জানায়, গত রোববার এনসিপির এক জরুরি সভায় মায়াসহ পাঁচজনকে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে চিহ্নিত করে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু সভার পরপরই খবর পেয়ে তিনি বহিষ্কার কার্যকর হওয়ার আগেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
সাংবাদিকদের সামনে মায়া বলেন, “আমি আগে কখনো কোনো দলের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলাম না। কিন্তু আমার নামে অপপ্রচার চালানো হয়েছে, নোংরা মন্তব্য করা হয়েছে। আমি নির্দোষ হলেও দল থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি। সামাজিক ও ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছি।”
এ বিষয়ে এনসিপির জেলা কমিটির নেতারা প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা অভিযোগ করেন, শুরু থেকেই মায়াসহ কয়েকজনের রাজনৈতিক যোগসাজশের তথ্য জানা থাকলেও রহস্যজনক কারণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে পরে দলে বিরোধ ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে, বিশেষ করে ‘জুলাই যোদ্ধা’দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও এনসিপির রাজশাহী অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক ইমরান ইমন ও মহানগর কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী সাড়া দেননি।
তবে এনসিপির জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম বলেন, “মিটিংয়ে কারও একক মত নয়, সর্বসম্মতিক্রমে কেন্দ্রকে অবহিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি শুনে তিনি পদত্যাগ করেছেন। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী দল চলবে।